শিকার পেয়েও না খেয়ে রইলো কুমির। উল্টে
শিকারকে জড়িয়ে ভেসে আছে সেই বিশাল কুমির। শুক্রবারের মেঘলা সকালে এই ঘটনায় ভারতের
ছোটমোল্লাখালির স্থির জীবনে আছড়ে পড়ল চাঞ্চল্যের ঢেউ।
নদীর জল স্থির দূর থেকে তাদের কোনও নড়নচড়ন দেখা যাচ্ছিল না। স্হানীয়রা তো বটেই বিস্মিত বন দপ্তরও। কুমির অথবা নারী, কেউ জীবিত কি না তাও প্রথমে বোঝা যাচ্ছিল না। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি কিংবা অ্যানিম্যাল প্ল্যানেটে এমন দৃশ্য হরবখত দেখা যায়। কিন্তু সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে কুমির ও মানুষের সহাবস্হানের ছবি দেখেননি কেউ। পরে অবশ্য জানা গেল কুমিরটি জীবিত এবং তার লেজের ঝাপটায় নারী অনেক আগেই মারা গিয়েছেন।
এদিন কোস্টাল থানা এলাকার ছোটমোল্লাখালির বাসিন্দা এক দম্পতি নদীতে বাগদার মীন ধরতে নেমেছিলেন। শ্যামাপদ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী রম্ভা রাত আড়াইটে নাগাদ নদীতে নামেন। তিনটে নাগাদ রম্ভাকে কুমির টেনে নিয়ে যায়। শ্যামাপদবাবু গ্রাম থেকে লোক জড়ো করে এনেও কিছু করতে পারেননি। রাতভর নদির পাড়েই অপেক্ষা। সকাল ছ'টা নাগাদ ওই নারীকে জড়িয়ে ধরে ভেসে থাকতে দেখা যায় একটি কুমিরকে। দূর থেকেও চেনা যাচিছল রম্ভাদেবীকে। পরনের শাড়িটি না থাকলেও অন্য পোশাকগুলি ছিল। দেহ ছিল অবিকৃত। অবাক হয়ে সবাই সেই দৃশ্য দেখছিলেন। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। আধিকারিক ও কর্মীদের চেষ্টায় কুমিরটিকে তাড়িয়ে দেহ উার হয়। বনকর্মীদের অভিজ্ঞতা বলছে অনেক আগেই মারা গিয়েছেন রম্ভাদেবী।
কুমিরটি নারীর শরীর ভক্ষণ না করে রক্ষা করছিল কেন তা নিয়ে সবাই বিস্মিত। এমন ঘটনা আগে ঘটেছে কি না তা মনে করতে পারছেন না বন আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে তাঁদের অনুমান, কুমিরটির পেট হয়তো ভরা ছিল। পরে খাবে তাই হয়তো দেহটিকে সে রক্ষা করছিল। কুমিরের দেহের নিচে লেপ্টে ছিল নারীর দেহ। তা কীভাবে সম্ভব? বনকর্মীদের অনুমান কুমিরের দেহের কাঁটায় হয়তো আটকে ছিল রম্ভাদেবীর দেহ।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
নদীর জল স্থির দূর থেকে তাদের কোনও নড়নচড়ন দেখা যাচ্ছিল না। স্হানীয়রা তো বটেই বিস্মিত বন দপ্তরও। কুমির অথবা নারী, কেউ জীবিত কি না তাও প্রথমে বোঝা যাচ্ছিল না। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি কিংবা অ্যানিম্যাল প্ল্যানেটে এমন দৃশ্য হরবখত দেখা যায়। কিন্তু সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে কুমির ও মানুষের সহাবস্হানের ছবি দেখেননি কেউ। পরে অবশ্য জানা গেল কুমিরটি জীবিত এবং তার লেজের ঝাপটায় নারী অনেক আগেই মারা গিয়েছেন।
এদিন কোস্টাল থানা এলাকার ছোটমোল্লাখালির বাসিন্দা এক দম্পতি নদীতে বাগদার মীন ধরতে নেমেছিলেন। শ্যামাপদ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী রম্ভা রাত আড়াইটে নাগাদ নদীতে নামেন। তিনটে নাগাদ রম্ভাকে কুমির টেনে নিয়ে যায়। শ্যামাপদবাবু গ্রাম থেকে লোক জড়ো করে এনেও কিছু করতে পারেননি। রাতভর নদির পাড়েই অপেক্ষা। সকাল ছ'টা নাগাদ ওই নারীকে জড়িয়ে ধরে ভেসে থাকতে দেখা যায় একটি কুমিরকে। দূর থেকেও চেনা যাচিছল রম্ভাদেবীকে। পরনের শাড়িটি না থাকলেও অন্য পোশাকগুলি ছিল। দেহ ছিল অবিকৃত। অবাক হয়ে সবাই সেই দৃশ্য দেখছিলেন। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। আধিকারিক ও কর্মীদের চেষ্টায় কুমিরটিকে তাড়িয়ে দেহ উার হয়। বনকর্মীদের অভিজ্ঞতা বলছে অনেক আগেই মারা গিয়েছেন রম্ভাদেবী।
কুমিরটি নারীর শরীর ভক্ষণ না করে রক্ষা করছিল কেন তা নিয়ে সবাই বিস্মিত। এমন ঘটনা আগে ঘটেছে কি না তা মনে করতে পারছেন না বন আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে তাঁদের অনুমান, কুমিরটির পেট হয়তো ভরা ছিল। পরে খাবে তাই হয়তো দেহটিকে সে রক্ষা করছিল। কুমিরের দেহের নিচে লেপ্টে ছিল নারীর দেহ। তা কীভাবে সম্ভব? বনকর্মীদের অনুমান কুমিরের দেহের কাঁটায় হয়তো আটকে ছিল রম্ভাদেবীর দেহ।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
No comments:
Post a Comment