কিছু খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমন ধরনের
পাঁচটি খাবার নিয়েই এ লেখা।
১. তৈলাক্ত মাছ :
এখন অনেকেই খাবার-দাবারে শর্টকাট করতে চান। এ কারণে মাছের
মতো কাটাযুক্ত খাবার, যা কিছুটা সময় ও
মনোযোগের সঙ্গে খেতে হয়, এগুলো খাদ্য
তালিকা থেকে চলে যাচ্ছে। আপনার যদি
স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ইচ্ছে থাকে তাহলে তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত মাছই হওয়া উচিত আপনার
প্রথম পছন্দ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চর্বিযুক্ত মাছে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড।
২. পাতাযুক্ত
শাক-সবজি : সবজি খেতে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেন। বিশেষ
করে শিশুরা এটা খেতে চায় না। কিন্তু সবুজ শাক-সবজিতে
রয়েছে বহু ধরনের পুষ্টিগুণ। আর এগুলো
মস্তিষ্কের জন্যও অত্যন্ত দরকারি। পালং শাক ও এই
ধরনের অন্যান্য শাকে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ
ছাড়া রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি ও বিটা-ক্যারোটিন। আর
এগুলোতে রয়েছে ফোলেট নামে একটি উপাদান। এটি আমাদের কোনো
বিষয়ে তথ্য গ্রহণ ও তা প্রক্রিয়াজাত করার গতি উন্নত করতে সহায়তা করে।
৩. ডিম : ডিমে
রয়েছে পরিপূর্ণ মিনারেল ও ভিটামিন। মস্তিষ্কের জন্য
উপকারী খাবার হিসেবেও ডিম পরিচিত। এতে রয়েছে
প্রচুর আয়রন, আয়োডিন ও
ভিটামিন বি১২। আয়রন রক্তের লোহিত কণা তৈরিতে সহায়তা করে। এটি আপনার মস্তিষ্কে অক্সিজেন বহন করে নিয়ে যায়। আর অক্সিজেন আপনার মস্তিষ্ক উদ্দীপ্ত ও কর্মক্ষম রাখে।
৪. গ্রিন টি : স্মার্টনেস
বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন এক কাপ করে গ্রিন টি পান করা যেতে পারে। কারণ গবেষকরা জানিয়েছেন, গ্রিন টি মানসিক উদ্দীপনা বাড়াতে সহায়তা করে।
৫. চকোলেট : চকোলেটের
একটি উপাদান ফ্লেভনইডসে রয়েছে মস্তিষ্ক উদ্দীপ্ত করার ক্ষমতা। অল্প
পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খেলে তা আপনার মস্তিষ্কের নতুন নিউরন গজাতে সহায়তা করবে। আর এর ফলে মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা বাড়বে। এ ছাড়া মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বাড়াতেও এটি সহায়তা করে।
এ খাবারগুলো
ছাড়াও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখার জন্য আপনাকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি
পান করতে হবে।
No comments:
Post a Comment