যেকোনো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য 'থিওরি
অব সেভেন' পদ্ধতি গ্রহণ করতে বলেন এক বিশেষজ্ঞ। প্রতিদিন নানা বর্ণের
নানা বয়সের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। কারো সঙ্গে কথা বলার
সময় থিওরি অব সেভেন পদ্ধিত অবলম্বনের অর্থ হলো, আপনি মানুষের
সঙ্গে এমনভাবে কথা বলবেন যেনো তাদের সবার বয়স সবে সাত বছর। এর মানে এই নয় যে, সাত
বছরের বাচ্চার সঙ্গে যেভাবে কথা বলা হয় তেমনটি বলতে হবে। এর মানে যার সঙ্গেই
কথা বলুন তাদের কাছে আপনার বচনভঙ্গী হবে আন্তরিক, আকর্ষণীয় এবং
সহজ-সরল। এই পদ্ধতি মার্কেটিং, পণ্য বিক্রয়, কথোপকথন, শিক্ষা
এবং ব্যবস্থাপনার জন্যে প্রযোজ্য।
আমাদের প্রায় সময় অন্যের কথার বাঁধনে জড়িয়ে পড়তে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার বক্তব্য বিরক্তি নিয়ে শুনতে হয়। ধন্যবাদের সঙ্গে তার কথা শেষ হওয়ার আগে দিবাস্বপ্ন দেখে সময় কাটানো ছাড়া কোনো কাজ থাকে না।
তাই কথা বলার সময় কিছু কৌশল রয়েছে। এগুলো রপ্ত করুন এবং নিজের বক্তব্যকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন।
১. গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দিন : পাহাড়ের কাছাকাছি থাকেন এই পরামর্শদাতা বিশেষজ্ঞ। সেই পাহাড়ে বিপদজনক মানুষের আনাগোনা রয়েছে। তিনি প্রতিদিন সকালে তার সন্তানদের তিনটি প্রশ্ন করেন। প্রথমটি হলো, পাহাড়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জিনিসটি কী? বাচ্চারা চিৎকার করে বলে, মানুষ। দ্বিতীয় প্রশ্নটি, এরপর কী সবচেয়ে ভয়ঙ্কর? তারস্বরে চিৎকার করে বাচ্চারা বলে, গাছ। তৃতীয় প্রশ্নটি হলো, গাছগুলো কেনো কম ভয়ঙ্কর? জবাব আসে, কারণ গাছেন নড়াচড়া করতে পারে না, কিন্তু মানুষ অনেক কিছু করতে পারে।
অর্থাৎ, আপনার বক্তব্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিকে প্রাধান্য দিতে হবে। বাচ্চাদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়ে যদি এভাবে শিক্ষা দিতে পারেন, তবে বড়দের বোঝানো নিশ্চয়ই অনেক সহজ হবে।
২. পরের বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকুন : এই পদ্ধতিতে পরের বিষয় সম্পর্কে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। নিজের বক্তব্য পেশের পর কী হতে পারে এবং সে বিষয়ে পরিষ্কার থেকে আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। 'একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি' বড়দের জন্য অনেকটা 'পরের বিষয়টি কী' ধরনের বিষয়।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যবসার ক্ষেত্রে পরে কী হবে তা অপরিষ্কার এবং অজানা। এর কারণ এখন পর্যন্ত তা কেউ বের করার চেষ্টা করেননি। তাই মানুষকে যদি পরিকল্পনামাফিক কাজে লাগাতে চান, তবে পরে কী হবে সে বিষয়ে শতভাগ পরিষ্কার থাকুন।
৩. বুদ্ধিজীবী হওয়ার চেষ্টা করবেন না : বক্তব্য পেশের সময় নিজে অতিরিক্ত বুদ্ধিমান হওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ শ্রোতার সংখ্যা যতো বেশি হবে, সেখানে নিজেকে বুদ্ধিমান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সম্ভাবনা ততো কমে যাবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সহজ-সরল হতে হবে। সাত বছরের একটি বাচ্চাকে যেভাবে বোঝানো উচিত, সেভাবেই বক্তব্য পেশ করতে হবে আপনাকে।
৪. অন্যরা বোকা বলে মনে করবেন না : শ্রোতাদের বুদ্ধিমান বলে মনে করুন। একই সময় আপনার ভাবতে হবে যে, তারা বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে বিশেষ ধ্যান দিতে পারেন এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে তা বাছ-বিচার করতে পারেন। কাজেই এসব বিষয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠুন, বোকা নয়।
৫. চলমান রাখুন : দক্ষ বক্তারা সব সময় পরিস্থিতিকে চলমান রাখেন, ঠিক যেনো ধর্মপ্রচার করছেন তারা। তবে এর নির্দিষ্ট কাঠামো থাকে। তারা কিছু বলার আগে বলে নেন কী বলতে যাচ্ছেন। সেগুলো বলে ফেলেন এবং অবশেষে আবারো বলেন কী কী বলেছেন। বক্তৃতার এই কাঠামোতে একঘেয়েমি চলে এসেছে। এমনভাবে বক্তৃতা চলমান থাকবে যেনো যখন-তখন নতুন এবং আকর্ষণীয় বিষয় উত্থাপিত হতে পারে এবং আলোচনায় বৈচিত্র্য আসে।
তাই সব শেষে বলা যায়, সৃষ্টিশীল হোন, আবেগের ব্যবহার করুন, সমর্থন দিন এবং আবর্ষণ তৈরি করুন। আপনার বক্তব্য এতোটাই মজার হবে যে, কেউ তার অতি জরুরি কাজটিও করতে ভুলে যাবেন। সূত্র : ফোর্বস
আমাদের প্রায় সময় অন্যের কথার বাঁধনে জড়িয়ে পড়তে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার বক্তব্য বিরক্তি নিয়ে শুনতে হয়। ধন্যবাদের সঙ্গে তার কথা শেষ হওয়ার আগে দিবাস্বপ্ন দেখে সময় কাটানো ছাড়া কোনো কাজ থাকে না।
তাই কথা বলার সময় কিছু কৌশল রয়েছে। এগুলো রপ্ত করুন এবং নিজের বক্তব্যকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন।
১. গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দিন : পাহাড়ের কাছাকাছি থাকেন এই পরামর্শদাতা বিশেষজ্ঞ। সেই পাহাড়ে বিপদজনক মানুষের আনাগোনা রয়েছে। তিনি প্রতিদিন সকালে তার সন্তানদের তিনটি প্রশ্ন করেন। প্রথমটি হলো, পাহাড়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জিনিসটি কী? বাচ্চারা চিৎকার করে বলে, মানুষ। দ্বিতীয় প্রশ্নটি, এরপর কী সবচেয়ে ভয়ঙ্কর? তারস্বরে চিৎকার করে বাচ্চারা বলে, গাছ। তৃতীয় প্রশ্নটি হলো, গাছগুলো কেনো কম ভয়ঙ্কর? জবাব আসে, কারণ গাছেন নড়াচড়া করতে পারে না, কিন্তু মানুষ অনেক কিছু করতে পারে।
অর্থাৎ, আপনার বক্তব্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিকে প্রাধান্য দিতে হবে। বাচ্চাদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়ে যদি এভাবে শিক্ষা দিতে পারেন, তবে বড়দের বোঝানো নিশ্চয়ই অনেক সহজ হবে।
২. পরের বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকুন : এই পদ্ধতিতে পরের বিষয় সম্পর্কে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। নিজের বক্তব্য পেশের পর কী হতে পারে এবং সে বিষয়ে পরিষ্কার থেকে আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। 'একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি' বড়দের জন্য অনেকটা 'পরের বিষয়টি কী' ধরনের বিষয়।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যবসার ক্ষেত্রে পরে কী হবে তা অপরিষ্কার এবং অজানা। এর কারণ এখন পর্যন্ত তা কেউ বের করার চেষ্টা করেননি। তাই মানুষকে যদি পরিকল্পনামাফিক কাজে লাগাতে চান, তবে পরে কী হবে সে বিষয়ে শতভাগ পরিষ্কার থাকুন।
৩. বুদ্ধিজীবী হওয়ার চেষ্টা করবেন না : বক্তব্য পেশের সময় নিজে অতিরিক্ত বুদ্ধিমান হওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ শ্রোতার সংখ্যা যতো বেশি হবে, সেখানে নিজেকে বুদ্ধিমান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সম্ভাবনা ততো কমে যাবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সহজ-সরল হতে হবে। সাত বছরের একটি বাচ্চাকে যেভাবে বোঝানো উচিত, সেভাবেই বক্তব্য পেশ করতে হবে আপনাকে।
৪. অন্যরা বোকা বলে মনে করবেন না : শ্রোতাদের বুদ্ধিমান বলে মনে করুন। একই সময় আপনার ভাবতে হবে যে, তারা বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে বিশেষ ধ্যান দিতে পারেন এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে তা বাছ-বিচার করতে পারেন। কাজেই এসব বিষয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠুন, বোকা নয়।
৫. চলমান রাখুন : দক্ষ বক্তারা সব সময় পরিস্থিতিকে চলমান রাখেন, ঠিক যেনো ধর্মপ্রচার করছেন তারা। তবে এর নির্দিষ্ট কাঠামো থাকে। তারা কিছু বলার আগে বলে নেন কী বলতে যাচ্ছেন। সেগুলো বলে ফেলেন এবং অবশেষে আবারো বলেন কী কী বলেছেন। বক্তৃতার এই কাঠামোতে একঘেয়েমি চলে এসেছে। এমনভাবে বক্তৃতা চলমান থাকবে যেনো যখন-তখন নতুন এবং আকর্ষণীয় বিষয় উত্থাপিত হতে পারে এবং আলোচনায় বৈচিত্র্য আসে।
তাই সব শেষে বলা যায়, সৃষ্টিশীল হোন, আবেগের ব্যবহার করুন, সমর্থন দিন এবং আবর্ষণ তৈরি করুন। আপনার বক্তব্য এতোটাই মজার হবে যে, কেউ তার অতি জরুরি কাজটিও করতে ভুলে যাবেন। সূত্র : ফোর্বস
No comments:
Post a Comment