ব্রাজিল থেকে
একের পর এক উঠে আসছে নেইমার, রোনাল্ডোর মতো
বিশ্ব সেরা ফুটবলার। তাঁরা পাচ্ছেন
খ্যাতি, অর্থ আর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের
জীবন। তাঁদের দেখে সে দেশের শিশুদের একটা বড়
অংশও ভবিষ্যতে ফুটবলার হতে চাইছে।
কিন্তু সবার পক্ষেই তো আর বিশ্ব সেরা কিংবা অন্তত ভালো ফুটবলার হয়ে ওঠা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে যেটা হয় যে, যারা সফল হতে ব্যর্থ হয় তারা সবদিকই হারায়। সবদিক বলতে, ঐসব শিশু ফুটবলার হওয়ার পেছনে এত সময় দিয়ে থাকে যে, তারা লেখাপড়া শেখার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে। ফলে যে সময় তারা বুঝতে পারে যে ফুটবল থেকে ভালো কিছু করা যাচ্ছে না, ততদিনে পড়াশোনা করে ভালো কিছু করার সময়ও শেষ হয়ে যায়।
ব্রাজিলের একটি সংস্থা হিসেব করে বলেছে, সে দেশে প্রতি ছয় হাজারের মধ্যে মাত্র একজন খেলোয়াড় প্রথম বিভাগে খেলার সুযোগ পায়। তবে প্রথম বিভাগে খেললেই যে অনেক অর্থের অধিকারী হওয়া যায় তাও নয়। কেননা পেশাদার ফুটবল খেলা ব্রাজিলের প্রায় ৩২ হাজার খেলোয়াড়ের প্রায় ৮০ শতাংশেরই মাসিক আয় গড়ে ৫৪০ ডলারেরও কম। পরিমাণটা ব্রাজিলের ন্যূনতম মজুরির দ্বিগুণ।
তাই তো পাওলো সিজার বেন্তো চান না তাঁর অধীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে যেসব শিশু ফুটবলার তারা শুধু ফুটবলের দিকে নয়, মনোযোগ দিক লেখাপড়ার দিকেও।
ব্রাজিলের রিও ডি জানেরোর ভিডিগাল বস্তির একটি ফুটবল দলের এই কোচ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘‘আমার বাল্যকালে আমি যে ভুল করেছি সেটা এখনকার প্রজন্মের শিশুরাও করুক সেটা আমি চাই না।''
‘ফ্যাক্টরি অফ ফ্রাস্ট্রেশন'
সবাই জানে ব্রাজিলে ট্যালেন্টেড ফুটবলার পাওয়া যায়। তাই বিশ্বের বড় ক্লাবগুলো ভবিষ্যতের নতুন তারকার খোঁজে সেখানে ছুটে যায়। কিংবা খেলোয়াড় খোঁজার জন্য জনবল নিয়োগ করে। এভাবেই তৈরি হয়েছে আজকের মেসি, যাঁর প্রতিভা দেখে তাঁকে ছোটবেলাতেই পরিবারসহ স্পেনে নিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা।
তাই বলে সবার ভাগ্য যে মেসির মতো হবে তা তো নয়। ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্সে ক্লাবের কর্মকর্তা মার্সেলো টেইক্সেরা, যিনি একসময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ব্রাজিলে প্রতিভা খুঁজতেন, তিনি বলেন, ‘‘ফুটবলে শীর্ষে ওঠা লটারির মতোই কঠিন।'' টেইক্সেরার মতো একইরকম ভাবনা সাও পাওলোর আরেক সাবেক ফুটবলার এদোয়ার্দো টেগোর। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিভার কারখানার পরিবর্তে ফুটবল এখন ব্রাজিলে হতাশার কারখানা।''
সূত্র : ডয়চে ভেলে
কিন্তু সবার পক্ষেই তো আর বিশ্ব সেরা কিংবা অন্তত ভালো ফুটবলার হয়ে ওঠা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে যেটা হয় যে, যারা সফল হতে ব্যর্থ হয় তারা সবদিকই হারায়। সবদিক বলতে, ঐসব শিশু ফুটবলার হওয়ার পেছনে এত সময় দিয়ে থাকে যে, তারা লেখাপড়া শেখার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে। ফলে যে সময় তারা বুঝতে পারে যে ফুটবল থেকে ভালো কিছু করা যাচ্ছে না, ততদিনে পড়াশোনা করে ভালো কিছু করার সময়ও শেষ হয়ে যায়।
ব্রাজিলের একটি সংস্থা হিসেব করে বলেছে, সে দেশে প্রতি ছয় হাজারের মধ্যে মাত্র একজন খেলোয়াড় প্রথম বিভাগে খেলার সুযোগ পায়। তবে প্রথম বিভাগে খেললেই যে অনেক অর্থের অধিকারী হওয়া যায় তাও নয়। কেননা পেশাদার ফুটবল খেলা ব্রাজিলের প্রায় ৩২ হাজার খেলোয়াড়ের প্রায় ৮০ শতাংশেরই মাসিক আয় গড়ে ৫৪০ ডলারেরও কম। পরিমাণটা ব্রাজিলের ন্যূনতম মজুরির দ্বিগুণ।
তাই তো পাওলো সিজার বেন্তো চান না তাঁর অধীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে যেসব শিশু ফুটবলার তারা শুধু ফুটবলের দিকে নয়, মনোযোগ দিক লেখাপড়ার দিকেও।
ব্রাজিলের রিও ডি জানেরোর ভিডিগাল বস্তির একটি ফুটবল দলের এই কোচ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘‘আমার বাল্যকালে আমি যে ভুল করেছি সেটা এখনকার প্রজন্মের শিশুরাও করুক সেটা আমি চাই না।''
‘ফ্যাক্টরি অফ ফ্রাস্ট্রেশন'
সবাই জানে ব্রাজিলে ট্যালেন্টেড ফুটবলার পাওয়া যায়। তাই বিশ্বের বড় ক্লাবগুলো ভবিষ্যতের নতুন তারকার খোঁজে সেখানে ছুটে যায়। কিংবা খেলোয়াড় খোঁজার জন্য জনবল নিয়োগ করে। এভাবেই তৈরি হয়েছে আজকের মেসি, যাঁর প্রতিভা দেখে তাঁকে ছোটবেলাতেই পরিবারসহ স্পেনে নিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা।
তাই বলে সবার ভাগ্য যে মেসির মতো হবে তা তো নয়। ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্সে ক্লাবের কর্মকর্তা মার্সেলো টেইক্সেরা, যিনি একসময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ব্রাজিলে প্রতিভা খুঁজতেন, তিনি বলেন, ‘‘ফুটবলে শীর্ষে ওঠা লটারির মতোই কঠিন।'' টেইক্সেরার মতো একইরকম ভাবনা সাও পাওলোর আরেক সাবেক ফুটবলার এদোয়ার্দো টেগোর। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিভার কারখানার পরিবর্তে ফুটবল এখন ব্রাজিলে হতাশার কারখানা।''
সূত্র : ডয়চে ভেলে
No comments:
Post a Comment