দিন দিন ফুলে যাচ্ছিল পেট। প্রথমদিকে অল্প হলেও
পরে বাড়তে থাকে যন্ত্রণা। একটু হাঁটাচলা করলেই হাঁপ ধরত। অবশেষে রানি সিং নামে
বছর আঠাশের ওই মহিলার পেট থেকে বের হলো ৩৫ কেজি ওজনের টিউমার। যা দেখে তাজ্জব
চিকিৎসকরাই। টিউমারটি কী ধরনের তা জানতে হিস্টো-প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার
জন্য সেটি পাঠানো হয়েছে। তবে,
সেটি নন-ম্যালিগন্যান্ট বলেই প্রাথমিকভাবে
ধারণা চিকিৎসকদের।
শনিবার তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভারতের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসক সোহিনী ভট্টাচার্য ও সার্জেন কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১০ জনের মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। রোগীর শরীরে তুলনামূলকভাবে হিমোগ্লোবিন কম থাকায় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে এবি পজিটিভের রক্ত না মেলায় খানিকটা ঝুঁকি নিয়েই অস্ত্রোপচার শুরু করতে হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার শুরু হলেও যদিও উত্তর দিনাজপুরের কানকির বাসিন্দা ওই বধূ এখনও পুরোপুরি বিপন্মুক্ত নন বলে দাবি চিকিৎসকদের। তিন সন্তানের মা ওই রোগীর প্লীহা ও গলব্লাডার কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিত্সকরা। আপাতত তাঁকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগের চিকিত্সক তথা আইএমএর শাখা সম্পাদক সন্দীপ সেনগুপ্ত। তাঁর কথায়, ওভারিয়ান টিউমার সন্দেহ করেই ওই রোগীর অস্ত্রোপচার শুরু করা হয়। কিন্ত্ত পেট কাটতেই প্রমাণ হয় ধারণা ভুল। দেখা যায়, ইণ্টার পেরিটোনিয়ালে বিরাট সিস্ট। জলীয় অংশ-সহ টিউমারটির ওজন ছিল প্রায় ৩৫ কেজি। অপারেশন চলাকালীন ধরা পড়ে গলব্লাডারেও প্রচুর পাথর রয়েছে। সেটিও পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, টিউমারটি যেকোনো মুহূর্তে সেটি ফেটে যেতে পারত। কিংবা লিভার আক্রান্ত হওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। ফলে জীবনহানির আশঙ্কা ছিল। এ দিন অস্ত্রোপচারের টিমে ছিলেন চিকিৎসক সোহিনী ভট্টাচার্য, বিজন পাটুয়া, নন্দিতা বিশ্বাস ও শ্বেতা চট্টোপাধ্যায়। সার্জেন ছিলেন সৌভিক চট্টোপাধ্যায়।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
শনিবার তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভারতের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসক সোহিনী ভট্টাচার্য ও সার্জেন কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১০ জনের মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। রোগীর শরীরে তুলনামূলকভাবে হিমোগ্লোবিন কম থাকায় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে এবি পজিটিভের রক্ত না মেলায় খানিকটা ঝুঁকি নিয়েই অস্ত্রোপচার শুরু করতে হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার শুরু হলেও যদিও উত্তর দিনাজপুরের কানকির বাসিন্দা ওই বধূ এখনও পুরোপুরি বিপন্মুক্ত নন বলে দাবি চিকিৎসকদের। তিন সন্তানের মা ওই রোগীর প্লীহা ও গলব্লাডার কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিত্সকরা। আপাতত তাঁকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগের চিকিত্সক তথা আইএমএর শাখা সম্পাদক সন্দীপ সেনগুপ্ত। তাঁর কথায়, ওভারিয়ান টিউমার সন্দেহ করেই ওই রোগীর অস্ত্রোপচার শুরু করা হয়। কিন্ত্ত পেট কাটতেই প্রমাণ হয় ধারণা ভুল। দেখা যায়, ইণ্টার পেরিটোনিয়ালে বিরাট সিস্ট। জলীয় অংশ-সহ টিউমারটির ওজন ছিল প্রায় ৩৫ কেজি। অপারেশন চলাকালীন ধরা পড়ে গলব্লাডারেও প্রচুর পাথর রয়েছে। সেটিও পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, টিউমারটি যেকোনো মুহূর্তে সেটি ফেটে যেতে পারত। কিংবা লিভার আক্রান্ত হওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। ফলে জীবনহানির আশঙ্কা ছিল। এ দিন অস্ত্রোপচারের টিমে ছিলেন চিকিৎসক সোহিনী ভট্টাচার্য, বিজন পাটুয়া, নন্দিতা বিশ্বাস ও শ্বেতা চট্টোপাধ্যায়। সার্জেন ছিলেন সৌভিক চট্টোপাধ্যায়।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
No comments:
Post a Comment