Sunday, July 20, 2014

রৌমারীতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ!

মোবাইল ফোনে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে একটি বাড়িতে তিন দিন ধরে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছেশুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষণের সেই চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে ধর্ষণকারীরাকুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধনারচর এলাকায় শুক্রবারের ঘটনা এটি
এদিকে ওই গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ মজনু মিয়া (২০) নামের এক ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেপুলিশ হেফাজতে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছেগত মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহষ্পতিবার রাত পর্যন্ত তিন দিন আটকে রেখে মেয়েটির ওপর বর্বর অত্যাচার চালানো হয়েছেশুক্রবার মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়ার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়
থানা পুলিশ ও অভিযোগে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের দিনমজুর মনির হোসেন এর স্কুলপড়ুয়া কন্যার সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেম-ভালোবাসা গড়ে তোলে একই উপজেলার ধনারচর চরের গ্রামের আব্দুল হামিদ এর পুত্র শাহাদত হোসেন (২২)মঙ্গলবার মেয়েটি তার প্রেমিক সাহাদতের সঙ্গে দেখা করতে আসেএ সময় সাহাদত হোসেন ও তার দুই বন্ধু মজনু মিয়া (২০) ও এমদাদুল হক (২২) মিলে পরিকল্পনা করে ধর্ষণেরপরে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভনে ধনারচর চরের গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়এরপর ওই বাড়িতে দিনরাত মেয়ের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় ওই তিন লম্পটতিন দিন নির্যাতনের পর মেয়েটিকে হত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছেকিন্তু মজনু নামের ধর্ষণকারী হত্যার বিরোধিতা করে মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়এ সময় নির্যাতিত মেয়েটি ধনারচর গ্রামের মহিলা ওয়ার্ড মেম্বার শিরিনা বেগমের বাড়িতে উঠে এবং ঘটনা খুলে বলে
শুক্রবার মহিলা মেম্বার মেয়েটিকে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করেপরে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করেধনারচর চরের গ্রামের আব্দুল হামিদ এর পুত্র সাহাদত্ হোসেন, আরফান আলীর পুত্র মজনু মিয়া ও আব্দুল মতিনের পুত্র এমদাদ হোসেন এদের পাশবিক নির্যাতন ঘটনার জন্ম দেয়
নির্যাতিত মেয়েটি পিতা মনির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ে নানির বাড়ির কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়তার পর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নিতিনি বলেন, ধর্ষণকারীরা মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়েছে, মামলা তুলে না নিলে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেন
এ ব্যাপারে রৌমারী থানার ওসি শামীম হোসেন সরদার জানান, গণধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছেএকজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছেঅন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

No comments:

Post a Comment