Friday, April 4, 2014

সেলফি বিতর্কে জড়ালেন ওবামা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মাস তিনেক আগে জোহানেসবার্গে নেলসন ম্যান্ডেলার শেষকৃত্যে তোলা বারাক ওবামার একটি সেলফি নিয়ে তুমুল হইচই হয়েছিল। 

আবারও সেলফি বিতর্কে নাম জড়াল মার্কিন প্রেসিডেন্টেরসে বার ওবামার বির্তক সঙ্গী ছিলেন ডেনর্মাকের প্রধানমন্ত্রী হেলে থর্নিং স্মিট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও। 

এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ডেভিড অরটিজ নামের এক বেসবল খেলোয়াড়গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল বেসবল দল বস্টন রেড সক্স। 


২০১৩ সালের ওয়ার্ল্ড সিরিজ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা রেড সক্সেরসংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিলসেখানেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিজের তোলা  একটি ছবি  সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পোস্টও করেছিলেন অরটিজ । 

অরটিজ ছবিটি তুলেছিলেন স্যামসাঙের একটি মোবাইল থেকেএই পর্যন্ত তো সব ঠিকঠাকই ছিলকিন্তু গোলমাল বাধল অন্যত্রঅরটিজের তোলা সেই সেলফিটি স্যামসাং নিজেদের টুইটার অ্যাকউন্টে রিপোস্ট  দেয়টুইটারে প্রায় ৫২ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে সংস্থাটির। 

ব্যসবিষয়টি নিয়ে শুরু হয় নানা  বিতর্কদুদিন পরে টনক নড়ে হোয়াইট হাউসেগত কাল তারা তীব্র নিন্দা করেছে স্যামসাঙেরহোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জে কার্নে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তারা। 

কার্নের কথায়, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কোনো মোবাইল সংস্থার প্রচারক নননিজেদের টুইটারে প্রেসিডেন্টের ছবি ছেপে অত্যন্ত অন্যায় কাজ করেছে স্যামসাং। 


আর বিষয়টি নিয়ে আইনজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলছিকেউ কেউ তো আবার বলছেন যে, অরটিজ স্যামসাঙের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাম্বাসাডর। 

তাই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তোলা সেই ছবির জন্য তাকে ভালো অর্থও দিয়েছে ওই মোবাইল সংস্থাঅরটিজ এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। 

তার বক্তব্য, তিনি স্যামসাঙের ফোনে ছবিটি তুলেছিলেন ঠিকইকিন্তু সংস্থার তরফে কোনও অর্থ তাকে দেয়া হয়নিঅরটিজের কথায়, “ছবি তোলার জন্য অনেক চিত্রগ্রাহক ছিলেন। 

কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, হাতে যখন একটা মোবাইল ক্যামেরা আছে, তখন আমি নিজেই একটা ছবি তুলিআসলে প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়িয়ে তার সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ তো আর প্রতিদিন আসে না”    


 -সংবাদ সংস্থা

No comments:

Post a Comment