Thursday, April 3, 2014

চিলির প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলে ৮ দশমিক ২ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প : নিহত ৫



ভবন ধসে এবং হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাদের কারো কারো মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।সরকার চিলির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল থেকে অনেক মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দুটো এলাকাকে বিপর্যয় এলাকা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট মিচেল বাচেলে।


ইকুইকুয়ের গভর্নর গনজালো প্রিয়েতো স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, নিহতদের পাশাপাশি কয়েকজন গুরুতর আহতও হয়েছে।সরকার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে তেমন কোনো ক্ষতির খবর না দিলেও আরিকা এলাকায় বেশকিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আরো কি ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।



চিলির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯ টার (বাংলাদেশ সময় বুধবার পৌনে ৬টা) দিকে ভূমিকম্পটি হয়।যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল পেরু সীমান্তের চিলির খনি বন্দর লিকুইকু থেকে ১শ’ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে এবং সমুদ্রতলের ১২ দশমিক ৫ মাইল গভীরে।



প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে ২ দশমিক ৩ মিটার উচ্চতার ঢেউসহ এক বড় ধরনের সুনামি তৈরি হয়েছে।চিলির নৌবাহিনী জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ৪৫ মিনিটের মধ্যে সুনামির প্রথম বড় ঢেউটি আঘাত হেনেছে।



চিলির সরকার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে স্বরাষ্টমন্ত্রী রডরিগো পেনাইলিল্লো জানিয়েছেন, উপকূলীয় এলাকায় উল্লেখ করার মতো কোনো ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ পাননি তারা। তবে ভূমিকম্পের সময় ঘটনার সুযোগ নিয়ে ইকুইকুয়ে জেল থেকে ৩শ’ বন্দি পালিয়ে গেছে।



সুনামি সতর্কতায় চিলির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়েছে সরকার। এছাড়া মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে পরে সতর্কর্তা তুলে নেয়া হয়েছে।



কয়েক সপ্তাহ ধরে চিলির প্রধান তামা রপ্তানি বন্দর ইকুইকুয়ে এলাকায় অস্বাভাবিক সংখ্যক ছোট মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকাটিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করে রাখা হয়েছিল।মঙ্গলবার গভীর রাতে দেশটির সরকার জানিয়েছে, ভূমিকম্প পরবর্তী ছয় ঘন্টা ধরে সুনামি সতর্কতা বজায় থাকবে।



২০১০ সালে প্রশান্ত মহাসাগরের চিলির উপকূলীয় এলাকায় ৮ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের ফলে তৈরি হওয়া সুনামিতে মধ্য ও দক্ষিণ চিলির কয়েকটি শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং ওই বিপর্যয়ে ৫২৬ জন প্রাণ হারিয়েছিল।

সুত্র- রয়টার্স

No comments:

Post a Comment