Friday, April 4, 2014

দুদকের কড়া সমালোচনা মুখে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত



দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কড়া সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু অ্যাকাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বক্তব্যে দুদকের আইন সংশোধন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের দীর্ঘ ছুটি ও বিএনপিকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারকের দেওয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন।

দেশের বাইরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের দীর্ঘ ছুটি কাটানোর কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের নেতা সুরঞ্জিত বলেন, তার দীর্ঘ ছুটিতে যাওয়াকে ডিফেন্ড করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষ মনে করে উপজেলা নির্বাচন চলার সময় তার এ দীর্ঘ ছুটিতে থাকা ঠিক হয়নি।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারকের বক্তব্যের সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, এটা একটি মর্যাদাপূর্ণ ও সাংবিধানিক পদ। মানুষ তার কাছ থেকে সংযত ও ভালো আচরণ প্রত্যাশা করে। এত তির্যক ও তীব্রভাবে সমালোচনা ঠিক নয়। গত ৩০ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বলেছিলেন, জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলেও নির্দলীয় উপজেলা নির্বাচনে এসে বিএনপি নাকে খত দিয়েছে।

দুদকের আইন সংশোধন সম্পর্কে আইন মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৪২০ ধারাসহ বিভিন্ন প্রতারণামূলক মামলা থানা থেকে নিষ্পত্তি করা যায়। এটা দুদক আইনে গেলে দুদক ও থানা থেকে তা নিষ্পত্তি করা যাবে। ১০ এপ্রিল জাতীয় সংসদ অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই এসব মামলা পেনাল কোডে ফেরত নিতে হবে। এ বিষয়ে আমি আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলেও জানান তিনি।

আমরা যেকোনো ভুলভ্রান্তি স্বীকার করি উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর প্রতারণা, ঘুষ লেনদেন এবং জমি জাল-জালিয়াতিসহ এ ধরনের বিভিন্ন অপরাধ দুদক আইন-২০০৪-এ তফসিলভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রতারণা, ঘুষ, জমি জাল-জালিয়াতি—এ ধরনের অভিযোগ এখন জানাতে হবে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। সরকার দুদকের আইন সংশোধন করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এ সভায় আওয়ামী লীগের নেতা চিত্তরঞ্জন দাশ, ফয়েজউদ্দিন মিয়া, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

No comments:

Post a Comment