Monday, March 31, 2014

পঞ্চম ও শেষ দফা উপজেলা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে



পঞ্চম ও শেষ দফা উপজেলা নির্বাচনে ৭৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ব্যালট পেপারসহ সরঞ্জামাদি স্ব স্ব কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে গণনা শুরু হয়েছে।

রোববার সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে দেশের ৩৪টি জেলার ৭৩ উপজেলায় ভোটগ্রহণ।
সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ভিড় ছিল। বিকেলের দিকে উপস্থিতি বেড়ে যায়।

তবে ভোট শুরুর ৫ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও ভোটকেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য বরগুনা টাঙ্গাইল জেলার আটটি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

স্থগিত ভোটকেন্দ্রগুলো হলো- টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বরগুনার আমতলীর সাতটি কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টার মতো ভোটগ্রহণ চলে।

এছাড়া ভোটগ্রহণকালে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ৬ জেলার ৯টি উপজেলায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।
 
নিজ নিজ উপজেলায় সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থীরা সরকার সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র দখল, জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারা ও এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন।
পরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া, চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা, সাতক্ষীরার তালা, কলারোয়া ও দেবহাটা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ১৯ দলীয় ও সরকারদলীয় বিদ্রোহীরা নির্বাচন বর্জন করে।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকদের ভোটকেন্দ্র দখল ও অনিয়মের অভিযোগে বিএনপি, জাতীয়পার্টি, জামায়াত ও বিদ্রোহীসহ ১০ প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন। পরে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুড়লে গুলিবিদ্ধ ৫ জনসহ আহত হয় অন্তত সাতজন।

পঞ্চম ধাপে মোট এক কোটি ৩৮ লাখ ৯১ হাজার ৭৫১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পান। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ২৬৯ জন, নারী ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ৪৮২ জন।

শেষ ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৬২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪১৮ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭৬ জন।

এ দফায় মোট ভোটকেন্দ্র ৫ হাজার ৫৩৪টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮৮৫টি। আচারণবিধি পর্যবেক্ষণে ব্যবস্থা নিতে ৩৬৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৯১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

পঞ্চম দফার ৭৩টি উপজেলা: দিনাজপুর জেলার বিরল, পার্বতীপুর ও হাকিমপুর; নীলফামারী জেলার ডোমার; লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ; গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ। বগুড়া জেলার বগুড়া সদর, রাজশাহী জেলার পবা; সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি ও শাহজাদপুর।

পাবনা জেলার পাবনা সদর ও বেড়া, চূয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা ও চূয়াডাঙ্গা সদর, সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা ও তালা, বরগূনা জেলার বামনা, পাথরঘাটা, বরগুনা সদর ও আমতলী; পটুয়াখালী জেলার দশমিনা ও কলাপাড়া; টাঙ্গাইল সদর, ঘাটাইল, মির্জাপুর ও গোপালপুর। জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ; ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও, ত্রিশাল ও নান্দাইল।

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম ও পাকুন্দিয়া; মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী; সিরাজদিখান ও লৌহজং; গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জও শ্রীপুর; নরসিংদী জেলার মনোহরদী, নরসিংদী সদর ও রায়পুরা; নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার; রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ।

সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর; সিলেট জেলার বিয়ানিবাজার; মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী ও রাজনগর; হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা, আশুগঞ্জ ও সদর; কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর ও চান্দিনা।

ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া; নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষীপুর জেলার রামগতি; লক্ষীপুর সদর, রামগঞ্জ ও রায়পুর; চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ; কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর; টেকনাফ ও উখিয়া; খগড়াছড়ি জেলার দিঘিনালা; রাঙ্গামাটি জেলার রাংগামাটি সদর, লংগদু, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি।

No comments:

Post a Comment