Monday, March 31, 2014

আগামী বছরে ৫ বিদেশে কর্মী প্রেরণের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ৩৭ লাখ



আগামী ৫ বছরে ৩৭ লাখ কর্মী বিদেশে প্রেরণের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সোমবার দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সামশুল হকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘সরকার কর্মী প্রেরণ খাতকে থ্রাস্ট সেক্টর হিসাবে ঘোষণা করেছে। মহাজোট সরকারের বিগত মেয়াদের ন্যায় বর্তমান মেয়াদে ও এ খাতকে স্বচ্ছ, প্রতরণামুক্ত এবং মর্যাদার সাথে অভিবাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, এ জন্য সরকার অধিক হারে দক্ষ কর্মী সৃষ্টির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে। এ লক্ষে বিদ্যমান কারিগরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরো সম্প্রসারিত ও ত্বরান্বিত করার নিমিত্তে ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭ টি নতুন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৫টি নতুন ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলোজি স্থাপন শীর্ষক গৃহীত প্রকল্পের কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে।

তিনি বলেন, ‘উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রতিটি জেলায় একটি করে কারিগরি প্রশক্ষিণ কেন্দ্র স্থাপিত হবে। বিদ্যমান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে প্রশিক্ষণ প্রদানের বর্তমান সক্ষমতা ৭৪ হাজার। এসব কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পূর্ণমাত্রায় চালু হলে এর সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারে উন্নীত হবে।’

মহাজোট সরকারের ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সময়ে ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৩ হাজার কর্মীকে প্রেরণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ১৫৯ টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হয়। যেখানে বিগত জোট সরকাররের আমলে ৯৭টি দেশে পাঠানো হতো।’

এছাড়া  সরকারের সফল শ্রম কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে বিদ্যমান শ্রম বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে নতুন নতুন শ্রম বাজার হিসেবে ইতিমধ্যে মরিশাস, পোল্যান্ড, সুইডেন, বেলারুশ, পাপুয়া নিউগিনি, সিসিলি, আলজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ প্রভৃতি দেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্য কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment