Monday, March 31, 2014

৬৪টি জেলায় থ্রিজি সেবা গ্রামীণফোনের


দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন তাদের ঘোষণা অনুসারে নির্ধারিত সময়ের আগেই সাতটি বিভাগীয় শহরসহ ৬৪টি জেলায় থ্রিজি সেবা পৌঁছে দিয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ বলেন, "টেলিনর গ্রুপের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে দ্রুতগতির থ্রিজি রোলআউট এবং এটা আমাদের 'সবার জন্য ইন্টারনেট' লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের অর্জিত অগ্রগতিতে গর্বিত। কিন্তু আরো বেশি মানুষকে থ্রিজি ব্যবহারের সুযোগ দিতে নেটওয়ার্কের আওতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।"
গ্রামীণফোন ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে এক প্রতিযোগিতামূলক নিলামের মাধ্যমে দুই হাজার ১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ১০ মেগাহার্জ তরঙ্গসহ থ্রিজি লাইসেন্স পায়। এর পরই গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর গ্রামীণফোন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তারা অক্টোবর মাসের মধ্যেই রাজধানী ঢাকা এবং বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের নির্বাচিত এলাকায় থ্রিজি সেবা চালু করতে যাচ্ছে। নভেম্বরে চালু হবে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকা নগরীর সম্পূর্ণ এলাকায়। দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে থ্রিজি সেবা চালু হবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে। আর সারা দেশের ৬৪ জেলায় চালু হবে মার্চে।
এরপর গত বছর ৮ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি চালু করে। গত ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ সাতটি বিভাগীয় শহরসহ বেশ কিছু জনবহুল শহর থ্রিজির আওতায় নিয়ে আসে গ্রামীণফোন। যদিও লাইসেন্সের শর্তে বলা হয়েছিল, ৯ মাসের মধ্যে বিভাগীয় শহরগুলোয় থ্রিজি চালু করতে হবে; কিন্ত তা মাত্র তিন মাসেই করা হয়। 
আর ছয় মাসের মধ্যেই সব জেলা শহরে থ্রিজি চালু হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের চিফ টেকনোলজি অফিসার তানভীর মোহাম্মদ বলেন, 'গ্রামীণফোন এখন দেশের বৃহত্তম ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ এখন থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আছে এবং বিদ্যমান থ্রিজি সক্ষম ডিভাইসের শতকরা ৮৫ ভাগ থ্রিজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে।'

No comments:

Post a Comment