Saturday, March 22, 2014

উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার : ইসি


সিনিয়র রিপোর্টার -

আজ ৯১টি উপজেলায় চতুর্থ দফার উপজেলা নির্বাচন। ধাপে ধাপে বাড়তে থাকা সহিংসতার জন্য ভোটাররা আতঙ্কের মধ্যে থাকলেও ইসি বলছে, এবার সহিংসতার লাগাম শক্ত হাতে ধরা হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যালট বাক্সে হাত দিলেই গুলি চালাতে বলা হয়েছে।



সূত্র জানায়, গত তিন ধাপের নির্বাচনে সহিংসতা, জাল ভোট, ব্যালট ছিনতাই, গুলি এবং কেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায়। সংঘাত-সহিংসতার কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সহিংসতা ঠেকাতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব এবং বিজিবির সদস্যরা, তবুও আতঙ্ক কাটছে না।



এরপর মোহাম্মদ মোবারক বলেন, ব্যালট বাক্সে কেউ হাত দিলে সরকারি গুলি খরচ করে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদিও কমিশন এটা চায় না, তবে কেউ এমনটি করলে তা-ই করা হবে। এছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না। আইনের আওতায় সর্বশেষ অবস্থা অনুযায়ী কমিশন ব্যবস্থা নেবে। কেউ যদি মনে করে, নির্বাচন হয়ে গেলে কমিশন কিছু করতে পারবে না, তাহলে সেটা ভুল।



শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মোবারক বলেন, সিআরপির ১৩১ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর দৃষ্টির মধ্যে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটলে তারা সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে। ১৮৯৮ সাল থেকে এই আইনটি ছিল। কমিশন এবার এই আইনটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।



তিনি বলেন, ভোটারসহ কারো অধিকার ব্যাহত হলে কমিশন চুপ থাকবে না। ভোটারদের ভোটাধিকার ব্যাহত হওয়া কমিশন কখনো বরদাশত করবে না।



সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, কমিশন প্রতিটি এলাকার সহিংসতা রোধে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে সহিংসতার আশঙ্কা থাকলে আগেই ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।



সহিংসতার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নির্বাচনকে মাঠ পর্যায়ে রূপ দেয়ায় সহিংসতা বেশি হচ্ছে। কারণ, এতে দলগুলো বিজয়ী হওয়ার জন্য হাই কমান্ড থেকে চাপ দিচ্ছে। তারা পরিসংখ্যানে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে জয় ধরে রাখার লক্ষ্যে সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে।
প্রার্থীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'ভোটারদের ওপর আস্থা রাখুন। জনগণের ভোটাধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে গণতান্ত্রিক আচরণ করুন।'



তিনি বলেন, উপজেলা গঠিত হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনেও সহিংসতা হয়েছে। তবে ২০০৯ সালে হয়নি। কারণ, তখন একই দিনে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারকার নির্বাচনে আইনগত কারণে একই দিনে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। উপজেলার প্রথম অধিবেশনের তারিখ হিসাব করে নির্বাচন করতে হচ্ছে।



সেনাবাহিনীকে সিইসির চিঠি
এর আগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যে কোনো ধরনের সহিংসতা এবং বিশৃঙ্খলা রোধে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার বরাবর ওই চিঠি দেয়া হয়েছে।
শনিবার বিকালে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সিইসির চিঠি দেয়ার কথা জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক।



সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফরে থাকা নিয়ে সমালোচনা এবং তৃতীয় দফার নির্বাচনে সহিংসতার পর সিইসির এই চিঠি এলো। আজ চতুর্থ দফায় ৯১টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চিঠিতে সিইসি আশা প্রকাশ করেন, 'আগের নির্বাচনের মতো সহিংসতা যেন না হয়, সেই কামনা করছি। উপজেলা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ত থাকার কথা নয়। কিন্তু দলগুলোর ভূমিকা প্রকাশ্য। দলগুলোর প্রধান কার্যালয় থেকে প্রার্থীকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। এজন্য সহিংসতা হচ্ছে।'



এর আগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি এবং আনসারপ্রধানদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সিইসি।



চিঠিতে তিনি বলেন, কোথাও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলে গুলি করা হবে। কেউ কালো হাত বাড়ালে তা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। অন্যায় করলে আইনের আওতায় আনা হবে। সহিংসতা হলে সেনাবাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে। প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে এ ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়েছে। তৃতীয় দফার নির্বাচনে যে সহিংসতা হয়েছে, এবার তা হবে না।



ওই চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা সিইসি আরো বলেন, 'দলগুলোর আচরণ নির্বাচনসহায়ক নয়। আশা করি, রাজনৈতিক নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।'



উল্লেখ্য, নির্দলীয় উপজেলা নির্বাচন দলীয় ব্যানারে না হলেও দলীয় প্রভাব রয়েছে সবখানেই। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দমতো প্রার্থী দিয়েছে। দুই দলের অসংখ্য বিদ্রোহী প্রার্থীও মাঠে রয়েছে। এই ধাপে আওয়ামী লীগের ৩৭টি আর বিএনপির ৩৩টি উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। অতিরিক্ত বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় এই দফায় প্রতিদিনই সহিংস ঘটনা ঘটছে। ৯১টি উপজেলার মধ্যে ৪৯টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী রয়েছে। বিএনপির আছে ৫১টি উপজেলায়। বাকি উপজেলাগুলোতে উভয় দলেরই একাধিক প্রার্থী রয়েছে।



সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনে ধারাবাহিক সহিংসতার কারণ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ের অভাব। তাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেগ পেতে হচ্ছে কমিশনকে। প্রথম ধাপে ১৯ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ১১টি এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে সহিংসতার কারণে নোয়াখালী সদর উপজেলাসহ ১৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে ইসি। ওইদিন নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে ভোটকেন্দ্রে দু'পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলিতে একজন যুবক নিহত হয়। তৃতীয় ধাপে ১৫ মার্চের নির্বাচনে ৩১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়, সহিংসতায় তিনজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এই ধাপেও অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বহাল থাকায় সহিংসতার আশঙ্কা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।



জানা গেছে, চতুর্থ ধাপের এই নির্বাচনে গত তিন ধাপের চেয়েও বেশি সহিংসতা হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে এ পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ইসিতেও তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।



এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পক্ষে কাজ করায় নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন আর সহিংসতা দমনে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে ইসি। ফলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বললেও তা কাজে আসছে না।



চতুর্থ ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে গত শুক্রবার সকাল থেকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তারা সবকিছু করবেন। প্রতিটি উপজেলায় ১ জন বিচারিক এবং ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (নারী-৪ ও পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন। তবে এসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সরকার সমর্থিতদের পক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।



প্রার্থী ও ভোটার সংখ্যা
চতুর্থ ধাপের ৯৩টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ১৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩৮৯ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪৮৫ জন এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩১২ জন। এসব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৪৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ লাখ ৩৯ হাজার ১০২ জন, নারী ভোটার ৭১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৪২ জন। এসব উপজেলার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬ হাজার ১০৮টি, ভোটকক্ষ ৩৮ হাজার ৬৪৪টি। প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৬ হাজার ১০৮ জন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৩৮ হাজার ৬৪৪ জন এবং পোলিং অফিসারের সংখ্যা ৭৭ হাজার ২৮৮ জন।



পুলিশ সুপার পদে রদবদল
এদিকে নির্বাচনের একদিন আগে আইনশৃঙ্খলায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরই অংশ হিসেবে শনিবার বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারকে রদবদলও করেছে ইসি। 
সূত্র জানায়, যশোর জেলার পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্রকে উপ-পুলিশ কমিশনার ডিএমপি, ঢাকায় বদলি করার অনুমোদন দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। তার জায়গায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ডিএমপি, পিপিএম-সেবাকে যশোরের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।



এছাড়া ঢাকার উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলিয়াস শরীফকে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে খুলনায় বদলি করা হয়েছে। খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম রউফ খানকে বরিশালের উপ-পুলিশ কমিশনার পদে বদলি করা হয়। আর বরিশালের উপ-পুলিশ কমিশনার টিএম মুজাহিদুল ইসলামকে লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলির অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।



যেসব উপজেলায় আজ ভোট 
চতুর্থ ধাপে যে ৯১টি উপজেলার নির্বাচন হবে তা হলো-ঢাকার ধামরাই, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ ও ফুলবাড়ী, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, বগুড়ার গাবতলী, রাজশাহীর তানোর, পুটিয়া ও বাগমারা, নাটোরের বড়াইগ্রাম, সিরাগঞ্জের চৌহালী, পাবনার ঈশ্বরদী ও ফরিদপুর, নড়াইল সদর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু, যশোরের সদর ও কেশবপুর, বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাট, খুলনার ফুলতলা, তেরখাদা, রূপসা, বটিয়াঘাটা ও দাকোপ, সাতক্ষীরার কলারোয়া, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর সদর, গলাচিপা, মির্জাগঞ্জ, বাউফল ও দুমকী, ভোলার তজুমুদ্দিন, মনপুরা ও দৌলতখান, বরিশালের আগৈলঝাড়া, উজিরপুর ও বানারীপাড়া, ঝালকাঠির সদর, কাঁঠালিয়া, রাজাপুর ও নলছিটি, পিরোজপুরের সদর, জিয়ানগর, ভা-ারিয়া ও মঠবাড়িয়া, টাঙ্গাইলের কালিহাতী, ভুয়াপুর, নাগরপুর ও মধুপুর, শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, নেত্রকোনার মদন, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, ইটনা, কটিয়াদি, মিঠামইন ও তাড়াইল, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, সুনামগঞ্জের শাল্লা ও ধর্মপাশা, সিলেটের সদর ও কানাইঘাট, মৌলভীবাজারের সদর, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জের সদর, আজমেরীগঞ্জ, লাখাই ও নবীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও নাসিরনগর, কুমিল্লার মেঘনা ও বরুড়া, চাঁদপুরের শাহরাস্তি, ফেনীর সোনাগাজী ও ফুলগাজী, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী ও সাতকানিয়া, কক্সবাজারের রামু ও কুতুবদিয়া, রাঙ্গামাটির জুড়াছড়ি এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি। 

No comments:

Post a Comment