দর্পণ ডেস্ক-
গত ১৭ মার্চ গাজীপুর নগরীর সুলতান হাসপাতালে
কুড়িগ্রামের ভূরঙ্গমারী উপজেলার মো. আসাদের স্ত্রী শিমু আক্তার ওই শিশুটির জন্ম
দেন। বর্তমানে
তারা গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার এরাবিয়ান গার্মেন্টস সংলগ্ন রবিউল্লাহর ভাড়া
বাড়িতে বসবাস করেন।
তিন পা নিয়ে
জন্ম নেওয়া এক শিশু ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছে।বর্তমানে হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে (২০৫ নম্বর ওয়ার্ড) পাঁচ
দিন বয়েসী ওই মেয়ে শিশুর চিকিৎসা চলছে।
শিশুটির
মা শিমু আক্তার জানিয়েছেন, গত
দুই বছর আগে তার একটি একটি ছেলে শিশু জন্মের সময়ই মারা যায়। এরপর গত ১৭ মার্চ তিনি
হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে একটি মেয়ে শিশু জন্ম দেন।
শিশুর
স্বাভাবিক দুটি পা ছাড়াও পেটের নিচ থেকে আরো একটি ছোট পা নিয়ে জন্মেছে।
তিনি
বলেন, অস্বাভাবিক ওই পাটি দেখলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাদেরকে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শে ওই দিনই ২০৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি
করি।
হাসপাতালের
শিশু সার্জারি ওয়ার্ড ইউনিট-২ এর চিকিৎসক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলি বাংলানিউজকে
বলেন, বর্তমানে শিশুটি ভালো আছে। টুইন বেবি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু
মায়ের পেটে তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শিশুর একটি পা এখনও রয়ে গেছে।
তিনি
জানান, পেটের নিচে অস্বাভাবিক একটি পা থাকায় স্বাভাবিকভাবে শিশুটি
প্রস্রাব পায়খানা করতে পারছে না। তবে ওই পায়ে কোনো শক্তি নেই।
শিশুটির
চিকিৎসা চলছে জানিয়ে ঢামেকের এই সহযোগী অধ্যাপক বলেন, বিভিন্ন
ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হয়েছে। হার্টে সমস্যা দেখা গিয়েছে। তবে আগামীকাল তার অপারেশন
করা হতে পারে।
চিকিৎসা
শেষে সে প্রায় ৯০ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন সেখানকার কর্মরত ডাক্তার।
No comments:
Post a Comment